মনটি ভীষণ ভার। মাথা মাটিতে মিশিয়ে গুটি গুটি চলে। পেট ভর্তি সবুজ কচি পাতা। উদগার তৃপ্তির ঢেকুর। তবুও বিষণ্ন….নিন্দা অপমানে। জন্মই তার বৃথা মনে হয়।
ফলারোহনে ব্যস্ত মানুষের কোলাহল। ‘‘….ইশশ…গা ঘিনঘিনে শুঁয়াপোকা’’- সুন্দরের পূজারী মানুষের অসুন্দরের প্রতি ঘৃণা!
কষ্টানুভূতি নিয়ে শুঁয়াপোকা…বন্ধ করে ঘরের জানালা। পণ করে দেখাবে না আর কাউকে, এই কদাকার রূপ। মাটির ঘরে কপাটবিহীন, অনশন ব্রতে বন্দি। নিসর্গের সন্তান সেও, প্রকৃতি তাই ভুলতে পারে না তাকে। শান্তির পেলব ছোঁয়ায় ঘুম পাড়িয়ে দেয়…..।
ঋতু পরিবর্তনের ডাক আসে। ঠক ঠক করে কে যেন ঘুম ভাঙায়। খিড়কি পথে উজ্জ্বল আলো ….আড়মোড়া ভেঙে ডানা ঝাপটায়। গা ভাসায় মুক্তির আনন্দে। ‘‘….ওমা…কি রঙচঙে প্রজাপতি গো….’’ পুজারীর উচ্ছাস!
আহমেদ সাবের
মানুষ সৌন্দর্যের পূজারী। গোবরে পদ্ম ফুল ফুটলেও গোবর নিয়ে কেউ মাতামাতি করে না। সেই বাস্তব সত্যটাকে তুলে ধরে আনা হয়েছে সুনিপুণ ভাবে এই অনুগল্পে। গল্পকারকে শুভেচ্ছা।
প্রজ্ঞা মৌসুমী
গল্পে, অল্পকথায় গভীর ভাব প্রকাশ করা দেখে প্রশংসা করি আপনাদের। ভালো লাগলো লেখনী ও ভিন্নতা। দৃষ্টিভঙি/ সৌন্দর্য-চেতনা নিয়ে একটা সূক্ষ্ম কটাক্ষ ফুটিয়ে তুললেন রূপকের মাধ্যমে...ভালো লাগলো। শেষটা মুগ্ধ করলো। অন্ধকারে জন্ম নেয়া আলো আবার অসুন্দরের ভেতর সুন্দরের জন্ম। সুন্দর ভাবনা! শুঁয়াপোকা থেকে প্রজাপতি হওয়ার ব্যাপারটা আরো একটু ডিটেইলস পেলে খুশি হতাম। ...শুঁয়াপোকাদের জন্য অনেক ভালোবাসা... শুভেচ্ছা আপনাকে।
রনীল
শুঁয়োপোকা থেকে যে প্রজাপতির জন্ম এই ব্যপারটাই ভুলে গিয়েছিলাম। যেকারনে গল্পের টুইস্টটা এতো দুর্দান্ত লেগেছে। চঞ্চু শব্দের মানে কি? গল্পটা পড়ে কেন যেন খুব অভিভূত বোধ করছি ...
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।